
পারিবারিক শিক্ষার অভাবে প্রতিটি স্তরে নৈতিক অবক্ষয় বর্তমান প্রজন্মকে পঙ্গুত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনে নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সহনশীলতা, শিষ্টাচার, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, অনুপম চরিত্র গঠন, সৌজন্যবোধ, উন্নত মানসিকতা সর্বোপরি ভদ্রতা শেখার প্রাথমিক বিদ্যাপীঠ হলো পরিবার।একজন ব্যক্তির পারিবারিক শিক্ষার কেন প্রয়োজন?
একজন ব্যক্তির পারিবারিক শিক্ষার অবশ্যই প্রয়োজন আছে।কোন ব্যক্তি যদি পারিবারিক শিক্ষা না পায় তাহলে সে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা।সেটা বিচার বিবেচনা না করেই বড় হবে।ছোট থেকে যদি কোন মানুষকে ভালো কিছু কথা ভাল কাজ শেখানো না হয়।সে উশৃঙ্খলভাবে বড় হবে।
তার মধ্যে মানবিকতা,বিচার বিবেচনা করার ক্ষমতা,পরোপকার,সামাজিকতা কোন কিছুই সে সত্য মস্তিষ্কের মাধ্যমে চিন্তাভাবনা করতে পারবে না।
তার মধ্যে নৈতিকতা থাকবে না।তার পরবর্তী প্রজন্মকে শেখানোর মতো তার মধ্যে কোন আদর্শ থাকবে না।সে যদি বাড়ি থেকে মানুষ ছোটতেই শিখে। ছোট তো যেটা শিখেছে সারা জীবন সেটাই লালন করে সেটাই পালন করে।
এখন কোন ব্যক্তি যদি ছোট থেকেই কোন কিছু না শেখে।তাহলে তার পরবর্তী প্রজন্মকে সে শিক্ষা দিতে পারবেনা।ভালোর দিকে ডাকতে পারবে না ভালো বোঝাইতে পারবেনা।
তাই আমি মনে করে পারিবারিক শিক্ষার সবচাইতে বড় দরকার।একটা ছোট বাচ্চা মানুষকে যেভাবে কথা বলতে দেখে সে সেটাই অনুসরণ করে ।যেভাবে কাজ করতে দেখে সে সেটাই অনুসরণ করে। সে যদি ছোট সময় অনুসরণের মানুষ না পায় তাহলে সে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।
শুধুমাত্র পারিবারিক শিক্ষার অভাবে তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তার আত্মীয়-স্বজন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।পরবর্তী প্রজন্ম ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই সবার আগে পারিবারিক শিক্ষা প্রয়োজন এবং দরকার বলে আমি মনে করি! আগে রাস্তায় বখাটে ছেলেরা মেয়েদের নানাভাবে বিরক্তি করতো বর্তমানে কিছু বখাটে বেয়াদব বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকে এসে তাঁদের বংশের পরিচয় দেয় কোন প্রয়োজন ছাড়া একটা মেয়েকে তার ম্যাসেঞ্জারে কল দেয়া কি অভদ্রতার পরিচয় না
ইয়াসির আরাফাত মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক
প্রতিদিনের আলোচিত কণ্ঠ